top of page

সাক্ষ্য: ঈসা বাঙালী লোককে মুক্তি দিয়েছেন।

কিভাবে আমি আল্লাহ্‌র পূর্ণ আনন্দ ও শান্তি পেয়েছি।

আমি বাঙালি আর এটা আমার সাক্ষ্য ঈসা কিভাবে আমাকে গুনাহ্‌ থেকে উদ্ধার করেছেন ও আমাকে নতুন জীবন দিয়েছেন। আগে আমি খুব ধর্মীয় লোক। আমি মুনাজাত করতাম বারবার, রোজা পালন করতাম, ধর্মীয় বই পড়তাম, মুনাজাতের ঘরের সেবা কাজ করতাম, ইত্যাদি। আমি সব ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও নিয়ম-নীতি পালন করার পরও মনে শান্তি ও তৃপ্তি হত না। কোন আনন্দ লাগত না। সব সময় হতাশা ও চিন্তায় থাকতাম। তখন আমি সব পাপের মধ্যে ছিলাম। প্রতিদিন পাপের সঙ্গে সংগ্রাম করতাম ও পাপের বন্দী ছিলাম। শয়তানের গোলাম ছিলাম। তখন মাবুদের অবাধ্য ছিলাম, রাগ ছিল, বদমেজাজি ছিলাম, অন্যদের ভালবাসতাম না, কাউকে সাহায্য করতাম না, মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করতাম না ইত্যাদি। আমি মনে করেছি আমার মৃত্যু হলে ভালো কাজ বেশি হলে বেহেশতে যাব আর খারাপ কাজ যদি বেশি হয় তাহলে দোজখে যাব। আমার চোখে আল্লাহ তখন ছিল একজন বিচারক। সে আমার বিচার করার পর বেহেশত ও দোযখ নির্ধারণ করবেন। কোন দয়া দেখাবেন না।


সেই সময়ে, আমি জানতাম যে আমার জীবনের আশ্চর্যজনকভাবে পরিবর্তন হত। এক দিন আমি এমনি একজন খ্রিস্টান ব্যক্তির সাথে দেখা করেছি। সে আমার সংগে ঈসার বিষয়ে কিছু শেয়ার করেছে। শুরুতে আমি তাকে শাস্তি দিব এই পরিকল্পনা করেছি ও তাকে অনেক ঘৃণা করেছি। আমি এই খ্রিস্টান পুরুষকে অগ্রাহ্য করেছি আর তার উপর অনেক রাগ করেছি। কিন্তু আল্লাহ্‌ আস্তে আস্তে আমার অন্তরে কাজ করেছেন। যখন আমি শুনলাম যে পাপ মুক্ত হতে উদ্ধার কর্তা (নাজাতদাতা) দরকার তখন আমি মনোযোগ দিয়েছি। যদিও আমি খুব ধর্মীয় ছিলাম আর আমি সব নিয়ম নীতি পালন করতাম, আমি জানতে পারলাম এসব পালন করে কোন লাভ নেই। তাই আমার প্রতি ঈসা আকর্ষণীয় হয়েছিলেন।


আগে আমি বিশ্বাস করতাম যে ইঞ্জিল শরীফ বাতিল হয়েছে ও নষ্ট হয়েছে। এইসব আমাকে শেখানোহয়েছে। কিন্তু আমার ভিতরে একটা তান ছিল। ঈসাকে জানার জন্য ইঞ্জিল পড়তে চেয়েছি। যখন আমি ইঞ্জিল পড়েছি অনেক ভালো লাগেছে। আমার ভিতরে কিছু আশ্চর্যজনক হয়েছে। ঈসাকে জানার আগ্রহ বেড়ে গিয়েছে তাঁকে যতই জানি ততই ভালো লাগলো এইভাবে আল্লাহ্‌ আমার অন্তরে কাজ করেছেন। আমি দেখেছি ঈসার সব ক্ষমতা আছে। পাপ ক্ষমা করার ক্ষমতা আছে।  যে ভালো কাজ করে বেহেশতে যাওয়া যাবে না। শুধু ঈসা আমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে পারতেন। এইসব বিষয় আমার অন্তরে আঘাত করেছে। আমি যে পাপের মধ্যে ডুবে আছি ও শয়তানের গোলাম হয়ে আছি। পাপের বন্দী আছি এই সব বিষয়ে আমার চেতনা হল।


প্রভু ঈসা উপুর বিশ্বাস বেড়ে গিয়েছে ও আমার মন পরিবর্তন হয়েছে যে ঈসার সব ক্ষমতা আছে। আমার অন্তরে ঈসা প্রতি অনেক ভালোবাসা হয়েছে। তাঁর প্রতি বিশ্বাস প্রথম থেকেই হয়েছে। প্রভু আমার প্রতি দয়া করেছে । কোন সন্দেহ অবিশ্বাস আমার মনে সৃষ্টি হয় নাই। আমি নিয়মিত চার্চে গিয়েছি ও কিতাব পরেছি যেন প্রভু ঈসা সম্পর্কে জানতে পারতাম। একদিন ঈসার নামে মোনাজাত করেছি তাঁর উত্তর পেয়েছি তখন থেকে তাঁর প্রতি ভালোবাসা বাড়তে থাকে আমি যে প্রার্থনা তাঁর কাছে রাখি তাঁর উত্তর পাই। যদিও তখন আমি জানতাম আমি যদি ঈসাককে গ্রহণ করি সবাই আমাকে ত্যাগ করবে, কষ্ট দেবে, অত্যাচার করবে, সবকিছু থেকে বঞ্চিত করবে, কিন্তু এসব বিষয় কোন চিন্তা করি নাই আমি মনে করতাম ঈসাই আমার সব আনন্দ। প্রভু ঈসাকে পেলেই আসার সব পাওয়া হয়ে যাবে। যা গতির কোন ধন সম্পদের প্রয়োজন মনে করি নাই। তাই শেষে আমি সব ত্যাগ করেছি ও প্রভু ঈসাকে গ্রহণ করেছি আমার নাজাতদাতা হিসাবে। আমি আমার প্রাণ ঈসার উপর দিয়ে দিয়েছি।


নাজাতের (উদ্ধারের) পর আমার অন্তর শান্তি লাগেছে। আগে এই শান্তি ছিল না। আগে আমার অন্তর অপবিত্র ছিল, কিন্তু পরে আমার অন্তর পবিত্র হয়েছে। নাজাতের পূর্বে আমার ব্যবহার ভালো ছিল না যেমন অনেক রাগ ছিল, মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার করতাম, বকা দিতাম, মিথ্যা কথা বলতাম। কিন্তু নাজাতের পর এইসব পরিবর্তন হয়েছে। নাজাতের পূর্বে অন্যদের সাথে সম্পর্ক ভালো ছিল না যেমন প্রতিবেশীদের ভালোবাসা না, তার কোন বিপদে পড়লে সাহায্য করতাম না, কিন্তু নাজাতের পর অন্যদের সাথে সাহায্যের মনোভাব ভালোবাসার মনোভাব তৈরি হয়েছে। প্রভু ঈসা আমাকে গুনাহের শক্তি থেকে মুক্ত করেছেন। আমি এখন গুনাহের উপর বিজয় লাভ করতে পারি প্রভু ঈসার মধ্য দিয়ে। নাজাতের পর আল্লাহ্‌র সাথে আমার গভীর সম্পর্ক হয়েছে ঈসার মধ্য দিয়ে। এখন আমি আল্লাহর সাথে যুক্ত আছি তাঁর সন্তান হিসাবে। আগে আমার অনন্ত জীবন ও বেহেশতের যাওয়ার কোন আশা ছিল না। আমার অনেক হতাশা ছিল। মারা গেলে কোন নিশ্চয়তা ছিল না আমি কোথায় থাকবো। আমার কি বিচার হবে, দোজখে না বেহেশতে যাব? আমার নাজাতের পর আমার আশা অনন্ত জীবনের পূর্ণ আছে। আমি বেহেশতে যাব নিশ্চয়তা আছে। আমার অনেক আনন্দ আছে।


bottom of page